“সব ছবিরই দর্শক আছে – সেই দর্শককে খুঁজে বের করতে হবে” চলচ্চিত্রকার লুব্ধক চ্যাটার্জীর সঙ্গে আড্ডায় সায়ন্তন

আজকাল অনেকেই একটা কথা প্রায় বিনাপ্রশ্নে মেনে নেন, খানিকটা উপপাদ্যের স্বতঃসিদ্ধের মত, যে ‘চেনাছকের বাইরে গিয়ে ছবি করলে তার দর্শক হবে না’। অর্থাৎ কেউ যদি চিরাচরিত ফর্মুলা মেনে জাবর কাটতে না চান, তবে তাকে লোকসান পোয়াতে হবে। আমাদের পডকাস্টের নতুন অতিথি কিন্তু অন্য কথা বলছেন। তাঁর দাবি – সব ছবিরই দর্শক আছে, কেবল তাকে খুঁজে নেওয়ার পরিশ্রমটুকু করা চাই।

কাউন্টারশটের দ্বিতীয় পর্বে আমাদের সঙ্গে আড্ডায় রয়েছেন নবীন পরিচালক শ্রী লুব্ধক চট্টোপাধ্যায়। লুব্ধকের ছবি রটারডাম চলচ্চিত্র উৎসবে দেখানো হয়েছে, সম্প্রতি তাঁর নতুন পূর্ণদৈর্ঘ্যের ছবি ‘হুইসপার্স অফ ফায়ার অ্যান্ড ওয়াটার’ (২০২৩) -এর প্রদর্শনী হয়েছে প্রসিদ্ধ লোকার্নো চলচ্চিত্র উৎসবে। বাঙালি দর্শক স্বভাবতই তাঁর সাফল্যের কথা শুনে আশায় বুক বাঁধে। কেরিয়ারের শুরু থেকে বিশ্বচলচ্চিত্রের আঙিনায় তাঁর অনায়াস আনাগোনা, অন্যদিকে তাঁর ছবির বিষয় এবং প্রকাশভঙ্গি জুড়ে থাকে ব্যক্তিগত, দেশজ অভিজ্ঞতার ছায়া। দেশের প্রান্তিক মানুষের জীবন নিয়ে তিনি ছবি করেন, অথচ ছবির ভাষায় রেখে দেন সার্বজনীনতার পরশ। এই প্রসঙ্গে উঠে আসে শিল্পী হিসেবে নিজের প্রকাশভঙ্গি নির্বাচনের কথা, ক্যামেরার সঙ্গে মানুষ ও প্রকৃতির টানাপোড়েনের ইতিবৃত্ত, এবং শিল্পীর নৈতিক দায়। সর্বোপরি, আপস না করে, সকল বাধা পেরিয়ে, ক্রমাগত ছবি করে যাওয়ার পিছনে যে উদ্যম ও পরিকল্পনা প্রয়োজন, তাই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা। যাঁরা স্বাধীনভাবে ছবি করতে চান, অন্যধারার ছবি সম্বন্ধে যাঁদের কৌতূহল রয়েছে — তাঁরা সকলেই এই আড্ডা থেকে ভাবনাচিন্তার খোরাক পাবেন, এই আশা রইল।

সম্পূর্ণ আড্ডাটি শুনতে পাবেন এইখানেঃ

Leave a comment