Images of Dreams and Memories: a conversation with Payal Kapadia

“Maybe that should be the reason that independent filmmakers push even harder to challenge the conventions of form. But now the thing that is very freeing for us is that technology has become cheaper. With very good mobile phones, we can make films. So the best thing is to keep practising and keep making. Everything may not be a complete film but maybe it’ll lead you to something else. Always having an end in sight may not be the only method for making films!” Continue reading Images of Dreams and Memories: a conversation with Payal Kapadia

স্বপ্ন ও স্মৃতির ছবিঃ চিত্রনির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার সাথে কথোপকথনে কাউন্টার শট

“আমাদের পাবলিক ইন্সটিটিউশানগুলো খোলামেলা চিন্তাভাবনা এবং মতবিরোধ করার মুক্ত পরিসর। অভ্যন্তরীণ নানাবিধ সমস্যা থাকা সত্ত্বেও এখানে নতুন ভাবনাচিন্তাকে ফুলের পাপড়ির মতো বেড়ে ওঠার সুযোগটুকু দেওয়া হয়- দেওয়া হয় প্রশ্ন করবার অবকাশ। হয়তো এই কারণেই এই স্পেসগুলোকে নিয়ে আমাদের সরকারের এতো ভয়!” Continue reading স্বপ্ন ও স্মৃতির ছবিঃ চিত্রনির্মাতা পায়েল কাপাডিয়ার সাথে কথোপকথনে কাউন্টার শট

আড্ডায় ওয়েস্টার্নঃ সঙ্গে অরূপরতন সমাজদার (পর্ব ২)

আমরা আমেরিকান সিভিলাইজেশান বলে যদি কিছু চিহ্নিত করতে পারি, সিভিল ওয়ার থেকে নব্বইয়ের দশকের মধ্যে তাকে যে যে সমস্যাগুলোর মুখে পড়তে হয়েছে, যেমন সোশাল জাস্টিস রক্ষিত হচ্ছে না, নানান অপরাধবৃত্তি মাথা চাড়া দিচ্ছে…গত পনেরো কুড়ি বছরে তৈরি ছবিগুলোতে নতুন করে গড়ে ওঠা সভ্যতাকে এই প্রশ্নগুলোর মোকাবিলা করতে করতেই এগোতে হচ্ছে – এই সমস্যাগুলোকে ঝেড়ে ফেলে একটা ‘সুস্থ স্বাভাবিক’ সমাজ গঠনের দিকে – যেখানে all Americans are equal before the eyes of God. এটাই ম্যানিফেস্ট ডেস্টিনি। Continue reading আড্ডায় ওয়েস্টার্নঃ সঙ্গে অরূপরতন সমাজদার (পর্ব ২)

বাংলাদেশের ছবি হাওয়া ও একটি উপকথার পুনর্কথন

এই শীতের মরশুমেও হাওয়া সত্যিই গরম। চতুর্থ বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উৎসবে হাওয়া (২০২২)  ছবিটি দেখতে নন্দনে উপচে পড়লো দর্শক। হলের বাইরে ঘন্টা চার পাঁচ ধরে লম্বা লাইন, কর্তৃপক্ষকে রিপিট শো এর আয়োজন করবার বন্দোবস্ত করতে বাধ্য করা- সম্প্রতি কোনো বাংলা ছবিকে ঘিরে এমন ঘটনা বিরল। কোভিডে, বাড়ির মধ্যে বসে থাকতে থাকতে আমরা যখন কম্পিউটার আর ল্যাপটপ থেকে মোবাইলের ছোট্ট চারকোণা ফ্রেমে সেঁধিয়ে গেছি, সিনেমা তখন আরো … Continue reading বাংলাদেশের ছবি হাওয়া ও একটি উপকথার পুনর্কথন

হাওয়া : একুশ শতকের নতুন বাংলা ছবির সূচনাবিন্দু?

এতক্ষণে সবাই নিশ্চই হাওয়া (২০২২) ছবিটির কথা জেনে ফেলেছেন। নন্দনে পরপর শোয়ে রেকর্ড পরিমাণ ভিড় – ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, আজ অবধি নন্দনে কোনো ছবিতে দর্শকদের দীর্ঘ লাইন নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এত বেশী পরিমাণ নিরাপত্তাকর্মীর প্রয়োজন পড়েছে বলে স্মরণকালের মধ্যে দেখিনি। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে সাধারণত নন্দন ১-এ প্রদর্শিত সব ছবির জন্যই লাইন পড়ে – কিন্তু তাই বলে সোমবার সকাল দশটার শো দেখার জন্য ভোর … Continue reading হাওয়া : একুশ শতকের নতুন বাংলা ছবির সূচনাবিন্দু?

তেহরান শহরের ভাষ্যঃ ক্রাইম অ্যান্ড সেলফ পানিশমেন্ট

ইরানের চিত্রপরিচালক জাফর পানাহি ২০১০ সাল থেকে গৃহবন্দী। রাষ্ট্রের নিষেধ ছবি বানানোয়, সাক্ষাৎকার দেওয়ায় বা ছবি সম্পর্কিত কোনোকিছুর সাথে সরাসরি যুক্ত থাকায়। তার মধ্যে থেকেও উনি বানিয়ে চলেছেন একের পর এক ছবি। ছবি বানানোর সিদ্ধান্তই যেখানে রাষ্ট্রের সাথে যুদ্ধ করবার মতো- সেখানে ছবিগুলো হয়ে ওঠে পানাহির যুদ্ধক্ষেত্র। এমন অবস্থায় মাসখানেক আগে তিনি চিত্রনির্মাতা মহম্মদ রাসুলুফ ও মোস্তাফা আল আহমুদের অন্যায় গ্রেপ্তারের প্রতিবাদ করতে গেলে তাঁকেও … Continue reading তেহরান শহরের ভাষ্যঃ ক্রাইম অ্যান্ড সেলফ পানিশমেন্ট

হোয়াট ইজ্ টু বি ডান / জঁ-লুক গোদার

[১৯৬৮ সালের মে মাসে ফ্রান্স শহরের ছাত্র আন্দোলন সংস্কৃতির আর পাঁচটা ক্ষেত্রের মতোই সিনেমারও সর্বস্ব ধরে ঝাঁকুনি দিয়েছিল। প্রচলিত মূলধারার ছবির বিকল্প বিষয় এবং আঙ্গিক অনুসন্ধান করাই শুধু নয়, বরং স্বতন্ত্র বিকল্প পরিসর, যেখানে চলচ্চিত্রনির্মাণ থেকে শুরু করে প্রদর্শন পর্যন্ত গোটা প্রক্রিয়াটাই সংযুক্ত হয়ে গেছিল সেই যুগের বৈপ্লবিক রাজনীতির সঙ্গে। ষাটের দশকের শেষ প্রান্তে দাবানলের মতো সারা পৃথিবীতে যখন প্রতিষ্ঠান এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার বিরূদ্ধে বিদ্রোহ ছড়িয়ে … Continue reading হোয়াট ইজ্ টু বি ডান / জঁ-লুক গোদার

অতিয়র / জঁ রেনোয়া

আমরা এমন একটা সময়ে বাস করছি যেখানে রাস্তা দিয়ে একসাথে দশ হাজার গাড়ি ছুটে যায়, আর যেই একটা লাল আলো জ্বলে উঠল অমনি দাঁড়িয়ে পড়ল সকলে। এর প্রতিক্রিয়া কী হতে পারে? না একটা বে-লাগাম, ফোলানো ফাঁপানো ট্রেন্ড যার মধ্যিখানে রয়েছে ব্যক্তিমানুষ। আর ফিল্মে এই ট্রেন্ডটা অতিয়রকে কেন্দ্র করে। Continue reading অতিয়র / জঁ রেনোয়া

স্মৃতির দ্বিখন্ডিত শরীর 

এই আশ্চর্য ক্ষমতাবলেই হেরনান জেসিকার হাতে হাত রেখে তার চেতনায় নিত্য হানা দেওয়া শব্দটা শুনতে পায়, প্রথম হেরনান যেমন পেয়েছিল তার কম্পিউটারে, সফটওয়্যারের সাহায্যে। জেসিকার সাথে হেরনানের স্মৃতির আদানপ্রদান হয়, তাদের বিচ্ছিন্ন শরীরের মাঝে ছড়িয়ে থাকা শূণ্যস্থান জুড়ে যেন সত্তা আর স্মৃতির শিরাউপশিরা ছড়িয়ে অদৃশ্য জট পেকে যায়, দুজন দুজনের অতীতকে আর বিচ্ছিন্ন করতে পারে না। অনন্ত সময়ের পারাবারে বসে বসে শরীরী ব্যবধান ঘুঁচিয়ে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে, হেরনান ও জেসিকা পেরিয়ে যায় অন্তর/বাহির, অতীত/বর্তমান, জীবন/মৃত্যু, সৃষ্টি/লয়, এমনকি পার্থিব/অপার্থিবের ভেদাভেদ। Continue reading স্মৃতির দ্বিখন্ডিত শরীর 

আড্ডায় ওয়েস্টার্নঃ সঙ্গে অরূপরতন সমাজদার (পর্ব ১)

ফোর্ড ১৯৪৬ সালে ভাবেননি যে ১৯৬৪ সালে উনি শায়ান অটাম নামে একটি ছবি বানিয়ে আমেরিকার উপজাতিদের রিডিম করবেন। এই ধরণের পাঠগুলো খুবই বিভ্রান্তিকর। বরং বলা যায় – এই যে ল্যান্ডস্কেপ এবং ইন্ডিয়ান – এর মধ্যে যে গ্রেন অফ ট্রুথ আছে, সেটা জন ফোর্ডের কাছে কোনো না কোনো ভাবে অত্যন্ত জরুরি হয়ে উঠেছে। জন ফোর্ড তার পরে সেখান থেকে একটি সভ্যতা গড়ে ওঠার গল্পে যাচ্ছেন, সেটা তাঁর ছবির একটা ইডিওলজিকাল প্রজেক্ট, যার একটা টার্নিং পয়েন্ট – আমার ধারণা – দা সার্চার্স (১৯৫৬)। এই ছবিটা রেস-এর প্রশ্নে হঠাৎ অত্যন্ত সচেতন হয়ে ওঠে। Continue reading আড্ডায় ওয়েস্টার্নঃ সঙ্গে অরূপরতন সমাজদার (পর্ব ১)